মুরগির বাচ্চার খাবার ৩০ দিন বয়স পর্যন্ত

ডিম থেকে বাচ্চা ফুটার পরে স্বাভাবিকভাবে দেশি মুরগির বাচ্চা অনেক দুর্বল থাকে। এই সময়ে মুরগির বাচ্চাকে সুস্থ রাখতে এবং মৃত্যুহার কমানোর জন্য আপনাকে অবশ্যই পুষ্টিগুনসমৃদ্ধ খাবার সরবরাহ করতে হবে।

কিন্তু আমাদের দেশের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, কম বেশি সবাই ডিম থেকে বাচ্চার ফুটার পরে মুরগির বাচ্চাকে চালের খুদ খাওয়ায়। এই চালের খুদ মুরগির বাচ্চাকে শুধু বাচিয়ে রাখে কিন্তু দৈহিক বৃদ্ধির জন্য যে পুষ্টিগুণ প্রয়োজন তা সঠিকভাবে পায় না। যার কারণে মুরগির বাচ্চার শারীরিক গ্রোথ তেমন আশানুরূপ হয় না।

চালের খুদের বিকল্প কি খাওয়াবো ?

মুরগির বাচ্চার মৃত্যুহার কমানো এবং শারীরিক গ্রোথ ঠিক রাখার জন্য আপনাকে অব্যশই বাজারে সহজলভ্য কমার্শিয়াল স্টাটার (১ নম্বর) ফিড খাওয়াতে হবে। কিন্তু কিছু অসাধু দোকানদার, কাস্টমারের অজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নিম্নমানের ও গ্রোয়ার ফিডকে স্টাটার ফিড বলে ঠকিয়ে থাকে। তাই ক্রেতাকে অবশ্যই দোকানদারে ফাঁদে পা দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

কমার্শিয়াল স্টাটার ফিডের দাম অনেক বেশি

হ্যাঁ এটা চিরন্তন সত্য, আমাদের দেশে পোল্ট্রি ফিডের বাজার বড় বড় কোম্পানির সিন্ডিকেটের কাছে পরাজিত । ঐ হারামি সিন্ডিকেটেরে জন্য অনেক খামারি আর্থিকভাবে আশানুরূপ লাভবান হতে পারছেন না। কিন্তু কিছুটা বুদ্ধিটা ব্যবহার করলে এই উর্দ্ধমূখী ফিডের দামের ভিতর খরচটা কমিয়ে আনা সম্ভব।

কিভাবে দেশি মুরগি বাচ্চার খাবার খরচ কমাবেন ?

সহজ বাংলায় বলতে গেলে, আমি যেভাবে আমার দেশি মুরগি বাচ্চার খাবার খরচ কমায় তা হলো, ১৫০০ গ্রাম ভুট্টা গুড়া + ১৫০০ গ্রাম গমের গুড়া + ১০০০ গ্রাম কমার্শিয়াল স্টাটার ফিড (মোট ৪ কেজি খাবার)। এই মিশ্রণ খাবারে মুরগির বাচ্চার শারীরিক গ্রোথ অনেক ভালো হয় এবং খরচও সাশ্রয়ী হয়।

ভুট্টা ও গমের গুড়া কিভাবে করবেন?

আমাদের সকলের বাসায় কম বেশি Mixer Grinder Machine আছে। আপনি ইচ্ছে করলে ঐ মিক্সার গ্রিণ্ডার মেশিনে ভুট্টা ও গমের গুড়া করে নিতে পারবেন।

যদি তাও সম্ভব না হয়, তাহলে আপনার লোকাল এলাকায় যেখানে মরিচ ও হলুদ গুড়া করে, ঐখান থেকে পরিমাণ মত ভুট্টা ও গম গুড়া করে নিতে পারবেন।

দেশি মুরগি বাচ্চার খাবার কিভাবে তৈরি করবেন ভিডিওতে দেখে নিন

মন্তব্য করুন