দেশি মুরগিকে নিয়মিত ভ্যাকসিন প্রয়োগ, একজন সফল খামারির অন্যতম গুণ। নিয়মিত ভ্যাকসিন প্রয়োগে দেশি মুরগি সুস্থ থাকে, রোগব্যাধি কম হয় এবং খামারির মুনাফা বৃদ্ধি পায়। আসুন এক নজরে দেখা যাক অত্যাবশকীয় এবং বাংলাদেশের তৈরি ভ্যাকসিন দ্বারা দেশি মুরগির বিভিন্ন রোগের ভ্যাকসিন সিডিউল।
টিকার নাম | রোগের নাম | ভ্যাকসিনের মাত্রা / পরিমাণ | বয়স | প্রয়োগের স্থান | কার্যকাল | মন্তব্য |
BCRDV | বাচ্চা মুরগির রাণীক্ষেত রোগ | ১০০ মাত্রা টিকাবীজ এবং ৬ সিসি বিশুদ্ধ পানিতে মিশিয়ে নিতে হয় | মুরগির বাচ্চার জন্মের ৭ দিনের মধ্যে | ২ চোখে ১ ফোঁটা করে ২ ফোঁটা | ১৭ দিন | বুস্টার ডোজ দিতে হয় |
BCRDV | বাচ্চা মুরগির রাণীক্ষেত রোগ | ১০০ মাত্রা টিকাবীজ এবং ৬ সিসি বিশুদ্ধ পানিতে মিশিয়ে নিতে হয় | ২১ দিন বয়সে পুনরায় দিতে হয় | ২ চোখে ১ ফোঁটা করে ২ ফোঁটা | ১ মাস ১০ দিন | বুস্টার ডোজ দিতে হয় |
ফাউল ফক্স | মুরগির বসন্ত | টিকাবীজ ২০০ মাত্রা এবং ৬ সিসি বিশুদ্ধ পানিতে মিশিয়ে নিতে হয় | ২৮ তম দিনে | পাখার নিচে পালক বিহীন স্থানে ১ ডোজ বা ১ ফোঁটা ঔষধ নিডল দিয়ে 3/4 ফুটা করে দিতে হবে | ১ বছর | |
RDV | রাণীক্ষেত রোগ | ১০০ মাত্রা টিকা বীজ ১০০ মিলি বিশুদ্ধ পানিতে মিশিয়ে নিতে হয় | ৬০ দিন বয়স | রানের মাংসে ১ সিসি করে | ৪ থেকে ৬ মাস | প্রতি ৪-৬ মাস পর পর এই ভ্যাকসিন দিতে হবে। যে কোনো বয়সের মোরগ বা মুরগিতে এ ভ্যাকসিন মাংসে দিতে হয় |
ফাউল কলেরা | কলেরা | ১০০ সিসি | ৭০ দিন | পালক বা পাখা নয় চামড়ার নিচে | ৬ মাস |
⛔ দেশি মুরগির ভ্যাকসিন নির্দিষ্ট সময়ে দিতে না পারলে যে কোনো সময় শুরু করা যায়। বিশুদ্ধ পানি / ডিষ্টিল ওয়াটার ব্যবহার করতে হবে।