মারেক্স ভাইরাস জনিত রোগ, প্রতিরোধে ভ্যাকসিন আবশ্যক

মারেক্স মুরগির ভাইরাস জনিত একটি মারাত্মক রোগ। সুস্থ মুরগী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এ রোগের দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। খুব সহজেই এ ভাইরাস বাতাসের সাহায্যে এক স্থান হতে অন্য স্থানে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে রোগের বিস্তার ঘটাতে পারে। আক্রান্ত মুরগির ঘরের ধুলাতে এ ভাইরাস জীবিত থেকে রোগ বিস্তার করতে পারে। এই রোগে আক্রান্ত মুরগির বিষ্ঠা ও লিটারে স্বাভাবিক তাপমাএায় এ ভাইরাস জীবিত থাকতে সক্ষম। কীট পতঙ্গের মাধ্যমে এ ভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারে।

👉 মারেক্স রোগের সাথে উৎপাদকসমূহের সর্ম্পকঃ

  • বংশগতঃ কিছু কিছু বংশের মুরগির দেহে এমন জিন রয়েছে যা মুরগির দেহে ভাইরাস দ্বারা রোগ সৃষ্টি হওয়া প্রতিহত করে।
  • লিঙ্গঃ মোরগের চেয়ে মুরগিতেই এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়।
  • বয়সঃ কম বয়সের মুরগী এই রোগের প্রতি বেশি সংবেদনশীল। বয়সের সাথে রোগের বিশেষ সর্ম্পক বিদ্যমান।
  • ভাইরাসের মাত্রাঃ অধিক মাএায় ভাইরাস দেহে প্রবেশ করলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি থাকে।
  • প্রবেশ পথঃ নাক দিয়ে ভাইরাস প্রবেশ শরীরে প্রবেশ করলে এই রোগ হবার সম্ভবনা অনেক বেশি থাকে।

👉 মারেক্স রোগের লক্ষণঃ

এই রোগের লক্ষন নির্ভর করে রোগে আক্রান্ত মুরগির বয়স , জাত ও ভাইরাসের ওপর। ডিম থেকে বাচ্চা ফোটার পর আক্রান্ত বাচ্চার রোগ লক্ষন প্রকাশ পেতে প্রায় ৩ সপ্তাহ সময় লাগে। যখন কোন ফার্মে এ রোগের প্রার্দুভাব ঘটে তখন অনেকগুলো মোরগ মুরগিতে প্রায় এক সঙ্গে লক্ষণ প্রকাশ পায়।

  • মাথা আক্রান্ত হলে দেহে খিচুনী দেখা দেয়
  • চক্ষু রোগে চোখের পিউপিল, আইরিস, সিলিয়া আক্রান্ত হয়
  • এ রোগে আইরিসের রং উঠে যায় এবং বর্ডার ভাজঁ ভাজঁ দেখায়
  • সব শেষে মুরগির অন্ধত্ব দেখা দেয়
  • দীর্ঘস্থায়ী রোগের ক্ষেএে মুরগির দৈহিক ওজন হ্রাস পায়
  • আক্রান্ত মুরগি ফ্যাকাশে হয়ে যায় ও ক্ষুধামন্দা দেখা দেয়
  • এর সাথে ডায়রিয়াও দেখা যেতে পারে। এসব কারণে আকান্ত মুরগি অনাহার কিংবা পানিশূন্যতায় যেতে পারে

👉 মারেক্স রোগ প্রতিকারের উপায়ঃ

  • স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ খামারের সবসময় বজায় রাখতে হবে
  • কোন মুরগী আক্রান্ত হলে তাকে সুস্থ মুরগী থেকে অতি দ্রুত আলাদা করে ফেলতে হবে
  • বয়স অনুযায়ী মুরগীগুলোকে আলাদাভাবে লালন-পালন করতে হবে
  • খামারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করতে হবে
  • বহিরাগতদের খামারে প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না
  • মুরগির খামারে ব্যবহৃত উপাদান ও মুরগির পালকের সাহায্যে ভাইরাস শেড থেকে শেডে, এমনকি এক খামার থেকে অন্য খামারে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। এ অবস্থায় প্রতিরোধকল্পে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে

👉 মারেক্স রোগে ভ্যাকসিন প্রয়োগঃ

  • মুরগির মারেক্স রোগ প্রতিরোধের জন্য ভ্যাকসিন দেয়া আবশ্যক।

মন্তব্য করুন