আমরা সবাই কম বেশি মুরগির গুটি বসন্ত বা পক্স রোগের সাথে পরিচিত । এই রোগটি মূলত মশার কামড়ে বেশি হয়ে থাকে । মশা থেকে যদি আপনি মুরগি ও বাচ্ছাকে বাঁচাতে না পারেন তাহলে এই পক্স রোগের ঝামেলা আপনার পিছু ছাড়বে না ।
১ থেকে ৩০ দিন বয়সি মুরগির বাচ্ছার গুটি বসন্ত বা পক্স রোগের চিকিৎসা
নাপা ট্যাবলেট ৫০০ মি গ্রা (মানুষের) ৪ ভাগের ১ ভাগ এবং রেনামাইসিন ট্যাবলেট (পশু পাখির) ৮ ভাগের ১ ভাগ সকালে ও বিকেলে ২ বেলা খাওয়াতে হবে।
২ থেকে ৪ মাস বয়সি বড় মুরগির গুটি বসন্ত বা পক্স রোগের চিকিৎসা
নাপা ট্যাবলেট ৫০০ মি গ্রা (মানুষের) ২ ভাগের ১ ভাগ এবং রেনামাইসিন ট্যাবলেট (পশু পাখির) ৪ ভাগের ১ ভাগ সকালে ও বিকেলে ২ বেলা খাওয়াতে হবে।
৪ মাস বয়সের বেশি বড় মুরগির গুটি বসন্ত বা পক্স রোগের চিকিৎসা
নাপা ট্যাবলেট ৫০০ মি গ্রা (মানুষের) ২ ভাগের ১ ভাগ এবং রেনামাইসিন ট্যাবলেট (পশু পাখির) ২ ভাগের ১ ভাগ সকালে ও বিকেলে ২ বেলা খাওয়াতে হবে।
মুরগি ও মুরগির বাচ্ছার চোখ ফুলে গিয়ে চোখ বন্ধ হয়ে গেলে করণীয়
অনেক সময় মশার কামড়ে মুরগির চোখ ফুলে গিয়ে চোখ বন্ধ হয়ে যায় এবং এক ধরনের পানি বের হয় । এমতাবস্থায়, তুলা বা কটন বার নিয়ে মুরগির চোখ পরিষ্কার করে দিতে হবে।
মুরগির এবং মুরগির বাচ্ছার চোখের ভিতর জমে থাকা এক ধরনের সাদা ক্রিম জাতীয় পদার্থকে অভিজ্ঞ কারো সাহায্য নিয়ে বের করে ফেলতে হবে। এটি বের না করলে মুরগির চোখের এই সমস্যা সমাধান হবে না।
চোখের ময়লা পরিষ্কার করার পরে সবার শেষে দিনে ২ বার করে সিভোডেক্স ভেট, চোখের ড্রপটি ২ ফোঁটা করে দিনে ২ বার দিতে হবে।
মশা থেকে মুরগি ও মুরগির বাচ্ছাকে বাঁচাতে করণীয় কাজ
- মুরগি ও মুরগির বাচ্ছার থাকার ঘরকে মশারি দিয়ে আবদ্ধ করে ফেলা
- মুরগির ঘরের ফ্লোর বা মেঝে পরিষ্কার রাখা
- পর্যাপ্ত পরিমাণ আলো ও বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখা।
- মাগরিবের আগে ধুব জালিয়ে দিয়ে মশা তাড়িয়ে দেয়া
- রাত ১০ টার দিকে মশার কয়েল জ্বালিয়ে দেয়া